Wednesday, August 13, 2014

বহুল ব্যবহৃত যে ধরনের লোগো থেকে দুরে থাকবেন



ঘরবাড়ি বিষয়ক লোগো তৈরীর সময় প্রথমেই আপনি যা ভাবেন তা হচ্ছে, দোচালা ছাদ, কার্নিস, জানালা কিংবা বাক্সের মত বিল্ডিং। এমন কিছু যা দেখে সহজেই বোঝা যায় লোগোর পেছনের কোম্পানীর কাজ কি।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি আপনার মত লক্ষ লক্ষ ডিজাইনার একই কথা ভাবেন। ফল হচ্ছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লক্ষ লক্ষ লোগো যা মুলত একই। শুধুমাত্র রং পরিবর্তণ করেই এক কোম্পানীর লোগোকে অন্য কোম্পানীর লোগো বানানোর উদাহরনের অভাব নেই। অতি ব্যবহারের কারনে এদেরকে বলা হয় জেনেরিক লোগো।

ক্লায়েন্ট যদি এতে আপত্তি না করেন তাহলে এধরনের ডিজাইনে দোষের কিছু নেই। সমস্যা হয় যখন তিনি নতুন কিছু চান। এই চাওয়ার ধরন একেকজনের একেকরকম। কেউ বলেন নতুনত্ব চাই, কেউ বলেন ক্রিয়েটিভ লোগো চাই, কেউ বলেন ইউনিক লোগো চাই, কেউ বলেন ক্লিপআর্ট চাই না। এখানে ক্লিপআর্ট বলতে অন্য ছবি বুঝানো হয় না, এমন কি যা দেখে ক্লিপআর্ট মনে হতে পারে সেটাই বুঝায়।
জেনেরিক লোগো চিনতে সহায়তা করার জন্য কিছু উদাহরন দেখানো হচ্ছে এখানে।

Saturday, July 26, 2014

লোগো ডিজাইনে গোল্ডেন রেশিও



চিত্রকর্মের সাথে কি অংকের সম্পর্ক আছে ?
সাধারনভাবে প্রশ্নটা অদ্ভুত মনে হলেও যারা এবিষয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছেন তারা দ্রতই বলবেন, আছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি থেকে পাবলো পিকাসো পর্যন্ত সকলের ছবি নিখুত জ্যাতিমিক ছকে আকা। একসময় শিল্পীরা জ্যামিতিক ছকনির্ভর ছবিতে এতটাই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন যে অনেকে বলতেন শিল্পী হওয়ার জন্য স্কেল, কম্পাস থাকাই যথেস্ট।
আর্শ্চজনকভাবে চিত্রকর্মের সাথে গনিতের এই সম্পর্ক প্রতিস্ঠা করে গেছেন ফিবোনাচি নামে একজন ইটালিয়ান গনিতবিদ, ১২০২ সালে। তার নামানুসারে একে বলা হয় ফিবোনাচি ফাংশন। ১৮৬০ সালে জার্মান পদার্থবিদ এবং মনোবিজ্ঞানী গুস্তাভ থিওডোর ফেচনার দেখিয়েছেন সরল একটি অনুপাত প্রকৃতিতে সমতা রক্ষা করে। ফিবোনাচি ফাংশনকে আরো সরলভাবেভাবে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও, কারন দুজনের পদ্ধতি একই অংক প্রকাশ করে। এর মান ফাই Φ (১.৬১৮০৩৩৯৮৮৭৪ ...) এর সমান।

ফাই পুরোপুরি অংকের বিষয়। সেদিকে না গিয়ে বরং ব্যবহারিক অর্থে দেখা যাক সেটা কি।

Monday, July 21, 2014

গ্রাফিক ডিজাইনে ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে বিভ্রান্তি



সত্যজিত রায় তার প্রথম গল্প লিখেছিলেন ইংরেজিতে। নাম এবষ্ট্রাকশন। বিষয় একজন চিত্রশিল্পী। শুরুতে তাকে দেখা যায় খবরের কাগজ হাতে। সেটা যে উল্টোদিকে ধরা সেটাও লক্ষ্য করেননি। শির্পীরা মনভোলা হন এটাই স্বাভাবিক। আসলে তিনি একটি ছবি আকা নিয়ে চিন্তিত।

এক প্রদর্শনীর জন্য তিনি ছবি আকছেন। তার নিজেরই খুব পছন্দ হল আকার পর। সেটা প্যাকেট করে পাঠিয়ে ঘরে ফিরলেন। কয়েকদিনের অগোছালো ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে তার চক্ষুস্থির। তার ছবিটা পরে রয়েছে চেয়ারের নিয়ে। ভুল করে অন্যকিছু পোষ্ট করে এসেছেন।
বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে তিনি পরবর্তী কয়েকদিন কাটালেন। একদিন প্রদর্শনীতে গেলেন তেমন আগ্রহ ছাড়াই। পুরো প্রদর্শনী ঘরে দেখলেন। সবশেষে এসে দাড়ালেন একেবারে শুরুতে পুরস্কার পাওয়া যে ছবি রয়েছে তার সামনে। তিনি বুঝলেন না সেটা কিসের ছবি। একসময় দৃষ্টি গেল শিল্পীর নামের দিকে, তার নিজের নাম লেখা।

Wednesday, July 9, 2014

বাড়িতে বসে কোটিপতি, আসলেই কি ?



বাংলা-টিউটর ব্লগ তৈরী করার পেছনে একটি বড় কারন ছিল ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে বিভ্রান্তি দুর করা। অনেকেরই হয়ত মনে আছে কয়েক হঠাত করেই ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে প্রচারনা শুরু হয়েছিল। এডসেন্স, এডওয়ার্ডস, পিটিসি ইত্যাদি থেকে সহজে হাজার হাজার ডলার আয়ের মাল্টিমিডিয়া, টাকার বিনিময়ে সেমিনার ইত্যাদি নিয়মিতভাবে দেখা যেত। ক্লিক করে আয়ের কথা বলে বড় ধরনের প্রতারনার ঘটনাও ঘটেছে। ইন্টারনেট থেকে আয়ের বাস্তবতা তুলে ধরা ছিল ব্লগের প্রথমদিকের পোষ্টগুলির মুল বিষয়।

গত ৪/৫ বছরে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তণ হয়েছে। বহু মানুষ নিজে কাজ করছেন। তাদের অভিজ্ঞতার কথা নিয়মিম প্রকাশ পাচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে টাকা আয়ের ধারনা কি বদলেছে ?
জনপ্রিয় পত্রিকায় যখন প্রতিবেদন ছাপা হয়, বাড়িতে বসে কোটিপতি, তখন এপ্রশ্ন এড়ানো যায় না। বরং মনে করা স্বাভাবিক যে এখনো মানুষকে এধরনের কথা বলা যায়।
এধরনের প্রতিবেদনের বক্তব্য একই। অমুকে বাড়িতে বসে কত হাজার ডলার আয় করেছেন। আপনিও করতে পারেন।
একথা বিশ্বাস করার আগে আপনি কি প্রশ্ন করতে পারেন, যে ব্যক্তি চাকরী করার পর অবসর সময়ে হাজার ডলার আয় করতে পারেন তিনি চাকরী করেন কেন ?

Sunday, February 9, 2014

ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ব্যতিক্রমি পরামর্শ



ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শের অভাব নেই। সমস্যা হচ্ছে সব পরামর্শ মেনে সফলতার দেখা পাওয়া যায় না। তাত্ত্বিকভাবে ভাল হওয়ার নিয়ম এবং বাস্তবে ভাল করার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য পাওয়া যায়।

এখানে সরল কিছু নিয়ম তুলে ধরা হচ্ছে যা অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া। এগুলি অনুসরন করে নিশ্চিত সাফল্য পেতে পারেন।

Thursday, January 23, 2014

ফ্রিল্যান্সারের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন



ফ্রিল্যান্সিং কাজে ক্রিয়েটিভিটি অমুল্য সম্পদ। অনেক ক্লায়েন্ট মুলত নতুন ধারনা পাওয়ার জন্যই নিয়মিত কর্মীর বদলে ফ্রিল্যান্সারের খোজ করেন। অথচ অনেক ফ্রিল্যান্সারেরই অভিজ্ঞতা, আশানুরুপ নতুন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। কখনো কখনো মনে হয় নতুন কিছু মাথায় আসছে না।

এই সমস্যার সহজ কোন সমাধান নেই। বরং সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কিছু কারন মানুষের জানা। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের বিভিন্ন কাজের পরিবেশ, প্রত্যাসা এবং সফলতা নানাভাবে পর্যালোচনা করে এগুলি পাওয়া গেছে।
প্রধান ৫টি কারন এখানে তুলে ধরা হচ্ছে;